এবার ভাগ্য ভাল ৯৭ মিনিটে ফ্রেডেরিকো রেডনডো গোল করেছিলেন, নয়ত আর্জেন্টিনা হয়ত এখানেই নিজেদের অলিম্পিক মিশনের ইতি দেখত। নাটকীয়তায় ঠাসা এক ম্যাচে প্যরাগুয়ের সঙ্গে ৩-৩ গোলে ড্র করেছে আলবিসেলেস্তেরা। কনমেবল অঞ্চলের অলিম্পিক বাছাইপর্বে যা যোগ করেছে ভিন্ন এক মাত্রা। পরের ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলের বিপক্ষে জয়ের কোন বিকল্পই নেই আর্জেন্টিনার।
এদিকে ব্রাজিল যে খুব একটা স্বস্তিতে আছে তাও না। গত ম্যাচেই প্যারাগুয়ের যুবাদের কাছে হেরে বসে র্যামন মেনেজেসের দল। এই ম্যাচে শেষ মুহূর্তের গোলে জয় পেয়েছে তারা। দুই ম্যাচ শেষে তিন পয়েন্ট নিয়ে তারা আছে তালিকার দুইয়ে। পরের ম্যাচে তাদের সামনেও জয়ের বিকল্প নেই। অপর ম্যাচে ভেনিজুয়েলা জিতলেই মারপ্যাঁচে আটকাতে হবে তাদের।
প্যারাগুয়ের সঙ্গে ৩-৩ ড্র হওয়া ম্যাচ আর্জেন্টিনাকে অনেকটাই পিছিয়ে দিয়েছে অলিম্পিক বাছাইপর্বে। তবে শেষ সময়ে গোল করে বরং মানই বাঁচিয়েছেন রেডন্ডো। ম্যাচে অবশ্য শুরুতেই এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। ম্যাচের তৃতীয় মিনিটে পাবলো সোলারির গোল এগিয়ে দেয় তাদের। এরপরেই ৪২ মিনিটে ডিয়েগো গোমেজের গোলে সমতায় ফেরে প্যারাগুয়ে।
এদিকে ৭০ মিনিটে নুনেজের গোলে প্যারাগুয়ে ব্যবধান ২-১এ নিয়ে যায়। আর্জেন্টিনা সমতায় ফিরতে সময় নেয় ১৪ মিনিট। থিয়াগো আলমাদা পেনাল্টিতে গোল করে সমতা ফেরান। ৯০ মিনিটে এনজো গনসালেস প্যারাগুয়েকে দ্বিতীয়বার এগিয়ে দেন। হারের শঙ্কায় থাকা আর্জেন্টিনা যোগ করা সময়ের সপ্তম মিনিটে গোল করে মূল্যবান ১ পয়েন্ট অর্জন করে।
দিনের অন্য ম্যাচে ৮৮ মিনিটের গোলে জয় পেয়েছে ব্রাজিল। গিলের্মে বেরোর গোলে জয় আসে ব্রাজিল শিবিরে। চূড়ান্ত পর্বে খেলা চার দলের মধ্যে ৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে প্যারাগুয়ে। ৩ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে ব্রাজিল, ২ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আর্জেন্টিনা।
রবিবার শেষ দিনে প্যারাগুয়ের প্রতিপক্ষ ভেনেজুয়েলা। অন্যম্যাচে খেলবে ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনা। ব্রাজিল জিতলে ৬ পয়েন্ট নিয়ে তাদের অলিম্পিক যাত্রা নিশ্চিত হবে। তাতে অন্যকোন হিসেবের দরকার হবে না। আর্জেন্টিনা জিতলে তারা অলিম্পিকে যাবে ৫ পয়েন্ট নিয়ে। সেক্ষেত্রে বাদ পড়বে ব্রাজিল।